শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের জন্য মা-বাবার করণীয়

Fazlul Haque
0


শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের জন্য মা-বাবার করণীয়


সন্তান হলো সৃস্টি কর্তার নিয়ামত। যার সন্তান নাই তার সংসারে সুখ নেই।  জীবনে খুব অশান্তি।

আপনি কি সন্তানের মা বা বাবা? আপনি কি প্রথমবারের জন্য মা বা বাবা হয়েছেন? আপনার শিশুর জন্য কি কি করনীয় ? অনেক মা বাবা হয়তো বিষয়গুলো ঠিকমত জানেননা। অনেকে আবার জানলেও বিষয়গুলোকে তেমন গুরুত্ব দেননা। কিন্তু আপনার এই গুরুত্ব না দেওয়া বা একটুখানি অবহেলার জন্য আপনার শিশুর কি চরম ক্ষতি হতে পারে আপনি জানতেও পারবেননা।তাই আপনার শিশুর ছোট খাট সকল ব্যাপারে সমান গুরুত্ব দিন।

তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক আপনার শিশুর সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ-

1.    আপনার শিশুকে অপরিচিত কোন ব্যাক্তির কোলে দিবেননা। অনেকসময় মানুষের শরীরে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকে যেগুলো ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। আপনার অজান্তে আপনার শিশু সেইসকল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্বকভাবে অসুস্থ্য হতে পারে।

2.    আপনার শিশুকে একমাত্র আপনার পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোন সদস্যদের সাথে একা একা বাইরে যেতে দিবেননা। বিভিন্ন সময় দেখা গেছে শিশু অপহরন বা শিশুর ক্ষতিকরমূলক কাজগুলো আপনার পরিচিতজনেরাই করে থাকে। পরিচিত কারো যোগসাজোস না থাকলে এমন কাজ কখনই সম্ভব না। বিশেষ করে গ্রামের দিকে এমন ঘটনা ঘটে থাকে।

3.    আপনার শিশুর শরীরে কোন দামী স্বর্নালংকার দিবেননা। বেশীরভাগ সময় দেখা যায় আপনার পরিচিতজনেরা সেই স্বর্নালংকারের লোভে আপনার শিশুর ক্ষতি করে থাকে। এমনকি বিভিন্ন সময়ে অনেক শিশুকে প্রানে মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটে থাকে।

4.    আপনার শিশু যখন আপনার কোন পরিচিত বা অপরিচিত ব্যাক্তির কাছে থাকে বা কোলে যায় তখন খেয়াল রাখতে হবে সেই ব্যাক্তি যেন আপনার শিশুর শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে হাত না দেয়। অনেকের অভ্যাশ থাকে স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে হাত দেওয়া, ঠোঁটে চুমু খাওয়া ইত্যাদি। এগুলো করলে আপনার শিশুর শরীরের ক্ষতি হতে পারে। মানুষের স্মুখের লালাতে, ঠোঁটে বা হাতে বিভিন্ন জীবানু থাকতে পারে যেগুলো আপনার শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

5.    অনেক সময় শিশুকে দাদু দিদা সম্পর্কের লোকজন বউ বলে সম্মোধন করে থাকে, বিয়ে করবে বলে ঠাট্টা করে থাকে। কখনই এগুলো করতে দিবেননা। এতে আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হতে পারে।

6.    আপনার শিশু যখন কথা বলতে পারেনা তখন কোন একজনের কোলে যে তে অসীকৃতি জানায় অনেক সময়। যদি কোন এক বিশেষ ব্যাক্তির কাছে যেতে বার বার যেতে অসীকৃতি জানায় তাহলে তাকে জোর করবেননা। মনে করবেন সেই ব্যাক্তির কোন সমস্যা আছে। সেই ব্যাক্তির কোন কাজ বা আচরন শিশুর ভালো লাগছেনা। যদি তিনি আপনার কাছের ব্যাক্তি হয় তাহলে গুরুত্বসহকারে তার আচরন লক্ষ্য করুন এবং কোন সমস্যা পেলে সরাসরি তাকে জানান।

7.    আপনার শিশুকে মানসিকভাবে সাহসী করে তুলুন যেন সে যেকোন কথা আপনার সাথে শেয়ার করতে পারে। শিশুর সাথে অভিভাবকসুলভ ব্যাবহার না করে বন্ধুসুলভ আচরন করুন।

দিন যাওয়ার সাথে সাথে এবং প্রযুক্তিগত প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের সাথে মানুষের সরসরি যোগাযোগ কতে যাচ্ছে। তাই মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। কার মনের মধ্যে কি আছে সেটা এখন ধারনা করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সতর্কতাই একমাত্র উপায়।

আমাদের এই পোস্টি ভালো লাগলে - লাইক  / কমেন্ট / শেয়ার করুন




Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top