জেনে নিন ! নিমের গাছের বহুবিধ উপকারিতা
নিম কটি ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে,
কফজনিত বুকের ব্যথা: অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ঔষধটি নিষেধ।
কৃমি: পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এই জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়ো দিনে ৩ বার সামান্য গরম পানিসহ খেতে হবে।
উকুন নাশ: নিমের পাতা বেটে হালকা করে মাথায় লাগিয়ে ঘন্টা খানেক পরে মাথা ধুয়ে ফেললে ২/৩ দিনের মধ্যে উকুন মরে যায়।
অজীর্ণ: অনেকদিন ধরে পেটের অসুখ, পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস অর্ধেক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
খোস পাচড়া: নিম পাতা সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়।
পোকা-মাকড়ের কামড়: পোকা মাকড় কামড়ালে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হয়।
দাঁতের রোগ: নিমের পাতা ও ছালের গুঁড়ো কিংম্বা নিমের ছাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয়।
জন্ম নিয়ন্ত্রণে নিম: নিম তেল একটি শক্তিশালী শুক্রাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে, নিম তেল মহিলাদের জন্য নতুন ধরনের কার্যকরী গর্ভনিরোধক হতে পারে। এটি ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রানু মেরে ফেলতে সক্ষম।
ব্লাড সুগারের রোজ সকালে খালি পেটে ১৫ থেকে ২০ টি নিম পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়। চিবিয়ে খেতে অসুবিধা হলে একই নিয়মে ৫ থেকে ৬ চামচ নিমপাতার রস খেলে একই উপকার হয়।
জেনে নেওয়া যাক নিমের আরো কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
১. ত্বকের বিভিন্ন রোগে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়।
২. দাঁতের সমস্যা বা মুখের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে নিমের দাঁতনে দাঁত মাজুন।
৩. মুখে ব্রণ বা কালো ছাপ থাকলে নিমপাতা বাটা লাগিয়ে দেখতে পারেন।
৪. কাটা ছড়ায় বা পোকা মাকড় কামড়ালে, সেই ক্ষত স্থানে নিমপাতা বেটে লাগালে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
৫. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে নিমপাতা খুব ই উপকারী। নিয়মিত নিমপাতা খেলে উপকার পাবেন।

