জানুন যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুনের উপকারিতা !!
রসুন একটি মসলা জাতীয় খাদ্য উপাদান। রান্নার মসলা হিসেবে রসুনের ব্যবহার সৃষ্টির শুরু থেকে চলে আসছে। রান্নায় স্বাদকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে শুধু নয়, রসুনের পুষ্টিগুণ রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে মসলার অন্যতম তালিকার মধ্যে। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, ভিটামিন সি। এছাড়া রসুনে আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমানে। রসুন এক দারুণ পেনিসিলিন জাতীয় মসলা। রসুন মানুষের দেহে এমন কোনো রোগ বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না। এটি চমত্কার অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখে।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ ওয়েবসাইট 'মেডলাইন প্লাস' জানিয়েছে, বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কোলন, রেক্টাল, পাকস্থলী, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, মূত্রথলি ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন ব্যবহার করে থাকেন । রসুন কারো কারো কাছে এটি মিনারেলসের মিনি স্টোর হিসেবে পরিচিত।
খালি পেটে রসুন কীভাবে খাবেন ?
খালি পেটে রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালের, খাবার খওয়ার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে জল দিয়ে গিলে ফেলুন দুই কোয়া রসুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। খালি পেটে রসুন খাওয়া মূলত রসুনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, একে পরিণত করে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকে। গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে।
অনেক আগ থেকেই দৈনন্দিন জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ছাড়া অলিম্পিক গেমের ক্রিয়াবিদরা প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য রসুন খেয়ে থাকেন। প্রাচীন চিন ও জাপানে রসুনকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভারতে হৃদরোগ ও গাটে ব্যথা প্রতিরোধে দীর্ঘকাল ধরেই রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। এক নজরে জেনে নিন খালি পেটে রসুন খাওযার উপকারিতাসমূহ:
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া হলে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। বিশেষ করে খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াগুলো উন্মুক্ত হয় এবং তখন রসুনের ক্ষমতার কাছে ব্যাকটেরিয়াগুলো হেরে যায়। ফলে শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহ আর রক্ষা পায় না।
১) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: অসংখ্য মানুষ যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা দেখেছেন, রসুন খাওয়ার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপের কিছু উপসর্গ ভাল দেখা যায়। এর কারন রসুন খাওয়ার ফলে তারা শরীরে ভাল পরিবর্তন দেখতে পায়।
২) অন্ত্রের জন্য ভাল: খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে যকৃত এবং মূত্রাশয় সঠিকভাবে নিজ নিজ কার্য সম্পাদন করে। এছাড়াও, এর ফলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন- ডায়রিয়া। এই রসুন হজম ও ক্ষুধার উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
৩) শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে: অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক উপকারি।
৪) শ্বসন: রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। রসুনের মধ্যে সকল রোগ আরোগ্যের করার উপায় সৃষ্টিকারি উত্স বিদ্যমান রয়েছে।
৫) যক্ষ্মা প্রতিরোধক: রসুনে এতো উপাদান যে যদি আপনার যক্ষ্মা বা টিবি জাতীয় কোন সমস্যা ধরা পড়ে, তাহলে সারাদিনে একটি সম্পূর্ণ রসুন কয়েক অংশে বিভক্ত করে বার বার খেতে থাকলে। যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে করা সম্ভাব।
৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রোগ-প্রতিরোধে আপনি যদি প্রতিদিন সকালের খবার খেয়ে এক কোয়া রসুন গিলে ফেলেন। চিবিয়ে খাবেন না, শুধু গিলে ফেলবেন। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৭) হজমের সমস্যা মুক্তি: ২/৩ টি রসুনের কোয়া কুচি করে সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিন। এটি সবজির সাথে কিংবা এমনি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে হজমের নানা সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন।এবং কোস্টকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান হবে।
৮) হৃদপিন্ডের সুস্থতায়: হৃদপিন্ডের সুস্থতায় রসুন অনেক উপকার করে থাকে। রসুন কোলেস্টরল কমাতে খুবই সহায়ক। এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কম থাকে।সুতরাং হার্ট এর জন্য রসুন অনেক উপকারি। যে প্রতিদিন রসুনের কয়েকটি কোয়া কাঁচা বা আধা সিদ্ধ করে সেবনে কেলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। আর রক্তচাপ ও রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতেও রসুন কাজ করে।
৯) প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে: রসুন শিরা-উপশিরায় প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া রসুন শিরা-উপশিরার মারাত্নক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাধাতেও সাহায্য করে।
১০) গিট বাতের সমাধানে: রসুন গিট বাতের রোগে অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত ২ কোয়া করে খেলে গিটের বাত সেরে যেতে পারে।
১১) শরীরের ফোড়া সারাতে: রসুনের রস শরীরের যে কোন পুজ ও ব্যথাযুক্ত ফোড়া সারাতে সাহায্য করে থাকে। যেখানে এই পুজ বা ফোড়া হবে, সেখানে রসুনের রস লাগিয়ে ১৫মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে অতিতাড়াতাড়ি সেইটার নিরাময় হয়। দাদ,খোস পাচড়া ধরনের চর্মরোগ থেকে রসুন উপকার দেই। চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্তনা থেকে মুক্তি দেয় এই রসুন।
১২) ক্যান্সের প্রতিরোধে রসুন: কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে এই রসুন। গলব্লাডার ক্যান্সার হওয়া থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই রসুন ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।
১৩) ব্রনের সমস্যা দূর করতে: রসুনের মধ্যে অনেক গুন আছে। এটি ব্রনের সমস্যায় অনেক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় শরীরে আঁচিল হয়ে থাকে, এই রসুনের রস আচিলের ক্ষেত্রে

