কোন মাছের কি গুণা গুণ জেনে নিন
১. রুই মাছ: বল বীর্য ও শুক্র বাড়ায় কিন্তু বাত রোগ থাকলে তা কমায়।
২. কাতলা মাছ: বায়ু পিত্ত ও কফ কমায় কিন্তু শক্তি বাড়ায়।
৩. বাউস মাছ: শুক্র ও বল বাড়ায়।
৪. চিতল মাছ: শুক্র ও বল বাড়ায়।
৫. ইলিশ মাছ: হজম শক্তি বাড়ায়, বায়ু কমায়, পিত্ত ও কফ কমায়।
৬. আইড় মাছ: শুক্র বল ও মেধা বাড়ায় কিন্তু বায়ু ও কফ কমায়।
৭. বোয়াল মাছ: শক্তি বাড়ায়, রক্ত ও পিত্তকে দুষিত করে কিন্তু ত্রিদোষ বাড়ায় অম্লপিত্ত কুষ্ট ও হাপানি প্রভৃতি কঠিন রোগ উৎপাদন করে। সব রোগীর জন্যই অপথ্য।
৮. মাগুর মাছ: শুক্র, বল ও রক্ত বাড়ায়, রক্তহীন ও পউরানা রুগীদের জন্য ভাল খাবার।
৯. শিং মাছ: কফ, মায়ের দুধ ও শক্তি বাড়ায় এবং শরীরের বাত কমায়।
১০. কৈ মাছ: শক্তি ও পিত্ত বাড়ায়, বায়ু কমায়।
১১. খলিশা মাছ: পায়খানা কষায়, বায়ু বাড়ায় গুলরোগ ও আমদোষ কমায়।
১২. শোল মাছ: পায়খানা কষায়, পিত্ত ও রক্তের জন্য খুবই উপকারী।
১৩. গজার মাছ: পায়খানা কষায়, শরীরে শক্তি বাড়ায়।
১৪. চিংড়ি মাছ: রুচি, বল, শুক্র ও কফ বাড়ায়। শরীরের মেদ পিত্ত ও রক্ত দোষে খুবই উপকারী। শীত পিত্ত বা শরীরে এলার্জি বৃদ্ধি করে।
১৫. চাপিলা: শুক্র, বল, কফ বাড়ায়। বায়ু ও পিত্ত কমে, শরীরে আমবাত হয়।
১৬. টেংরা মাছ : কফ ও পিত্ত কমায়, শরীরে বল বাড়ায়।
১৭. ভেটকি মাছ : শরীরের আমবাত উত্পন্ন করে, শ্লেমা বাড়ায়, বাত ও পিত্ত কমায়।
১৮. পুটি মাছ : শুক্র বাড়ায়, কফ, বাত, কুষ্ঠ রোগ দূর করে। ঘিয়ে ভাজা পুটি মাছে ধ্বজ ভঙ্গ রোগে উপকার হয়।
১৯. খলিশা মাছ : পায়খানা কষায়, বায়ু বাড়ায় গুলরোগ ও আমদোষ কমায়।
২০. শিলন মাছ : আমবাত উৎপন্ন করে, বল ও শ্লেমা বাড়ায়, বাত ও পিত্ত কমায়।
২১. বেলে মাছ : শরীরে বায়ু বাড়ায়।
২২. ফলি মাছ : শরীরে বল ও শুক্র বাড়ায়, বসন্ত প্রতিরোধক।
২৩. বাইন মাছ : শরীরে শক্তি ও শুক্র বাড়ায়, বাত পিত্ত থাকলে কমায়।
২৪. ভেটকি মাছ : শরীরের আমবাত উৎপন্ন করে, শ্লেমা বাড়ায়, বাত ও পিত্ত কমায়।
২৫. পুটি মাছ : শুক্র বাড়ায়, কফ, বাত, কুষ্ঠ রোগ দূর করে। ঘিয়ে ভাজা পুটি মাছে ধ্বজ ভঙ্গ রোগে উপকার হয়।
মাছের ডিম : অত্যন্ত শুক্র বর্ধক, বল, পুষ্টি ও মেদ জনক।
মাছের তৈল : বল পুষ্টি ও কফ পিত্ত জনক।
শুটকী মাছ : মুখের রুচি বাড়ায়।
সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর
মাছে বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, টুনাসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে অতিরিক্ত মাত্রায় পারদসহ অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া বিশ্বের অনেক দেশেই প্রক্রিয়াজাত মাছ বিক্রি করা হয়। এই প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ক্রুটির কারণে মাছ খাওয়া দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

