ফল খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে জল খাচ্ছেন? শরীরের ক্ষতি করছেন !
প্রায় সব ফলের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে এবং এগুলি থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখন এবং কীভাবে ফল খাবেন তাও জানা উচিত, তবেই শরীর পূর্ণ উপকার পেতে পারে।
ঋতু ভেদে বাজারে বিভিন্ন ধরণের ফল আসে। কথায় বলে খালি পেটে জল এবং ভরা পেটে ফল। চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরাও প্রত্যেকে বলেন, প্রতিদিন অত্যন্ত একটি করে মরসুমি ফল খাওয়টা উচিত। ভিটামিন এ, বি, সি থেকে শুরু করে ই এবং ক্যালসিয়াম, আয়রন থেকে শুরু করে পটাসিয়াম পর্যন্ত, ফল শরীরকে অনেক পুষ্টি সরবরাহ করে। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রায় সব ফলের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে এবং এগুলি থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখন এবং কীভাবে ফল খাবেন তাও জানা উচিত, তবেই শরীর পূর্ণ উপকার পেতে পারে। অনেকেই ফল খেয়ে জল খেয়ে নেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। এতে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। জানেন ফল খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জল খেলে কী কী ক্ষতি হয়?
১। হজমে সমস্যা – ফল খাওয়ার পরপরই যদি আপনি জল পান করেন, তাহলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং বদহজম, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এর ফলে, আপনার শরীর ফলের পুষ্টি সঠিকভাবে শোষণ করতে পারে না এবং সম্পূর্ণ উপকার পায় না। বিশেষ করে টক ফল খাওয়ার পর জল পান করলে হজমশক্তি নষ্ট হতে পারে।
২। পিএইচ স্তরে ব্যাঘাত – ফল খেলে এবং তার পরপরই জল পান করলে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে শরীরের pH স্তরের অবনতি হতে পারে। কিছু ফলে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে এবং তাই যখন আপনি তাৎক্ষণিকভাবে জল পান করেন, তখন অতিরিক্ত জলের কারণে বমি হতে পারে।
৩। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে – ফল খাওয়ার পরপরই জল পান করলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের মনে রাখা উচিত যে ফল খাওয়ার পরপরই জল পান করা উচিত নয়।
৪। সর্দি-কাশি সমস্যা – ফল খাওয়ার পরপরই জল পান করলে শরীরে কফের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে কাশি, সর্দি এবং গলা ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় আপনি নিশ্চয়ই বড়দের বলতে শুনেছেন যে ফল খাওয়ার পর জল পান করলে কাশি শুরু হবে। খাবারের আধ ঘন্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত এবং সঙ্গে সঙ্গে জল পান করাও এড়িয়ে চলা উচিত।

