গর্ভাবস্থায় সিগারেট খেলে বা মদ্যপান করলে কী সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি হয় জানেন?
এই সময়ে যে কোনও ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ গ্রহণ, বিশেষ করে সিগারেট ও মদ্যপান, শিশুর জন্য মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। কী ক্ষতি হয় জানেন?
সিগারেটের খেলে কী হয়?
সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকা নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইড গর্ভস্থ শিশুর অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। জন্মের সময় ওজন কম হতে পারে এবং সময়ের আগেই প্রসব হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। গর্ভাবস্থায় ধূমপানের ফলে ‘প্লাসেন্টা প্রিভিয়া’ বা ‘প্লাসেন্টাল অ্যাবরাপশন’-এর মত জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা মায়ের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, শিশুর পরবর্তী জীবনে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও আচরণগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
মদ্যপান করলে কী হয়?
মদ্যপানে থাকা অ্যালকোহল গর্ভনালীর মাধ্যমে সরাসরি ভ্রূণের শরীরে প্রবেশ করে এবং তার মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। ফলাফল হতে পারে ‘Fetal Alcohol Spectrum Disorder (FASD)। যার ফলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি কমে, মুখমণ্ডলে বিকৃতি দেখা দেয়, শেখার অসুবিধা ও মনোযোগের সমস্যা হয়। এমনকি খুব অল্প পরিমাণ মদ্যপানও গর্ভস্থ শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ধরুন মা হয়তো নিজে মদ্যপান বা ধূমপান করলেন না। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন যেখানে প্রায় বেশিরভাগ সময়ে আপনার প্যাসিভ স্মোকিং হচ্ছে। বা ইনডিরেক্ট অ্যালকোহল এক্সপোজারও ঘটছে। সেটাও কিন্তু ক্ষতিকর। মা যদি নিজে সিগারেট বা মদ্যপান না করেন, কিন্তু নিয়মিত এমন পরিবেশে থাকেন যেখানে অন্যরা করে, তাহলেও গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ফলে গর্ভপাত, মৃত ভ্রূণ বা জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা বাড়ে।
গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই সুস্থ জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত চেকআপ এবং ক্ষতিকর আসক্তিগুলি থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

